স্থানঃ হাসনাবাদ (চৌঃ মাঝিরবাড়ী), দাঁতমারা, উল্টাভিটা।
কালঃ এপ্রিল/৭১
শহীদঃ ২৩ জন।
কালঃ এপ্রিল/৭১
শহীদঃ ২৩ জন।
১৯৭১ সালে ২৯ এপ্রিল পাকহানাদার বাহিনীর গুলিবর্ষনে দাঁতমারা ইউনিয়নাধীন হাসনাবাদ মৌজার আমিনুল হক চৌধুরীর বাড়ি পুকুরপাড়ে বাংকারে গুলি করে সর্বমোট ২৩ জন নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তন্মধ্যে ৮জনের নাম জানা যায়। আমিনুল হক চৌধুরী, আবদুর রশিদ, আবুল কাশেম, জেবল হোসেন, আলী আহম্মদ, দেলোয়ার হোসেন, আবদুল জলিল ও কামাল পাশা।
স্থানঃ দক্ষিণ কাঞ্চননগর, গোমস্তা পুকুর পাড়।
কালঃ নভেম্বর/৭১
শহীদঃ ২৩ জন।
১৯৭১ সাল বাংলা অগ্রহায়ণ মাসে রমজান ঈদের পরের দিন রোজ শনিবার বেলা আনুমানিক বেলা ১১.৩০ ঘটিকার সময় কাঞ্চননগর গোমস্তা পুকুরের দক্ষিণ পূর্বকোণে পাকহানাদার বাহিনী ১৪জন নিরীহ ব্যক্তিকে গুলি করে পুকুরে ফেলে দেয়। তন্মধ্যে ১৩জন ব্যক্তি শহীদ হন এবং ১জন ব্যক্তি জখম অবস্থায় বেঁচে যান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তির নাম আহাম্মদ হোসেন, পিতা- আজিজুর রহমান, সাং- কাঞ্চননগর। বর্তমানে তিনি জীবিত আছেন।
স্থানঃ গোপালঘাটা, শাহনগর, লেলাং।
কালঃ নভেম্বর/৭১
শহীদঃ ২৯ জন।
২২/১১/১৯৭১ খ্রিঃ তারিখে আনুমানিক বেলা ১১.০০ ঘটিকায় পাকহানাদার বাহিনী কর্তৃক প্রায় ২৯ জন নিরীহ ব্যক্তিকে নির্মমভাবে হত্য করা হয় মর্মে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাগণ জানান। সৈয়দুল হক নামের একজন মুক্তিযোদ্ধা শরীরে গুলি লাগারভান করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পাকহানাদার বাহিনী তাঁকে মৃত মনে করে জীবন্ত কবর দেয়। পরবর্তীতে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করেন এবং বিগত ৬বছর পূর্বে তিনি মৃত্যু বরণ করেন বলে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাগণ জানান।
স্থানঃ তেলপারই খাল, আজিম নগর।
কালঃ জুন/৭১
শহীদঃ ০৪ জন।
০৯/০৬/১৯৭১ খ্রিঃ তারিখ সকাল আনুমানিক সকাল ১০.০০ ঘটিকায় পাকহানাদার বাহিনী মাইজভান্ডার শরীফের পশ্চিম পার্শ্বে আজিমনগর মৌজাস্থিত বোচা ডাক্তারের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। পাকহানাদার বাহিনী কর্তৃক ০৪জন নিরীহ ব্যক্তিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। শহীদ ব্যক্তিগণ হচ্ছেন- মনিন্দ্র কুমার শীল, দেবেন্দ্র কুমার শীল, হেমেন্দ্র কুমার শীল ও মহন্ত কুমার শীল।
স্থানঃ কর্ণফুলী চা-বাগান, গোপালঘাটা।
কালঃ অক্টোবর/৭১
শহীদঃ ২১ জন।
পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে ধরে এনে পাকহানাদার বাহিনী কর্তৃক প্রায় ২১ জন নিরীহ ব্যক্তিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় মর্মে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাগণ জানান।
স্থানঃ দাঁতমারা চা-বাগান
কালঃ এপ্রিল/৭১
শহীদঃ ০৪ জন।
১৯৭১ সালে এপ্রিল মাসে আনুমানিক বিকেল ৪.০০ ঘটিকার সময় বিভিন্ন স্থান হতে পাকহানাদার বাহিনী ৪জন নিরীহ মানুষকে ধরে এনে এক যোগে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। এদের মধ্যে চা-বাগান শ্রমিক বাবু দীলিপ কুমার এবং ফয়জুর রহমান এর নাম পাওয়া যায় এবং অন্য দুইজনের নাম জানা যায়নি।
স্থানঃ বিনাজুরী (নানুপুর)
কালঃ জুন/৭১
শহীদঃ ০৬ জন।
১৯৭১ সালের জুন মাসের ২ তারিখে পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে ধরে এনে পাকহানাদার বাহিনী কর্তৃক ৬জন নিরীহ ব্যক্তিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় মর্মে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাগণ জানান। শহীদদের নাম হলো নূর আহম্মদ, জসিম উদ্দিন, দত্ত বাবু, আবদুস ছালাম। অন্য ২ জন শহীদের নাম মুক্তিযোদ্ধাগণ স্মরণ করতে পারেন নি।
স্থানঃ রক্তছড়ি (কাঞ্চননগর)
১৯৭১ সাল বাংলা অগ্রহায়ণ মাসে রমজান ঈদের পরের দিন রোজ শনিবার বেলা আনুমানিক দুপুর ১.০০ ঘটিকায় পাকহানাদার বাহিনী ৬জন নিরীহ ব্যক্তিকে গুলিকরে শহীদ করেন। শহীদদের নাম হলো সামসুল আলম, শাহ আলম, আবু তাহের, বদন মিয়া, হেদায়তুল হক বি.এস.সি, মোহাম্মদ ইয়াহিয়া।
স্থানঃ নাজির হাট, বাস ষ্ট্যান্ড অবস্থিত
কালঃ ডিসেম্বর/৭১
শহীদঃ ১১ জন।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকহানাদার বাহিনীর গুলিবর্ষনে নাজিরহাট বাসস্ট্যান্ডের নিকট ১১ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। নিহত ১১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে নাজিরহাট বাসস্ট্যান্ডে সমাহিত করা হয়। উক্ত ১১ জন শহীদের স্মরণে বর্তামানে বাসস্ট্যান্ডে শহীদ সমাধি নির্মিত আছে।
স্থানঃ চৌমুহনী, কাঞ্চননগর
কালঃ নভেম্বর/৭১
১৯৭১ সাল বাংলা অগ্রহায়ণ মাসে রমজান ঈদের পরের দিন রোজ শনিবার বেলা আনুমানিক সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় চৌমুহনী বাজারের পশ্চিমে জগদীশ মহাজনের পুকুরের দক্ষিণ-পশ্চিমকোণে পাকহানাদার বাহিনী ৩ জন নিরীহ ব্যক্তিকে গুলিকরে শহীদ করেন। শহীদের নাম হলো কবির আহম্মদ, শাহ আলম ও ফকির মোহাম্মদ।
স্থানঃ আবদুল্লাপুর (মন্দিরের পার্শ্বে)
মোঃ তকিরহাট বাজারের দক্ষিণ পূর্বে অবস্থিত।
১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে সারাদিনব্যাপী রাউজান, ফটিকছড়ি সীমানা ঘেঁষে আবদুললাপুর মৌজাস্থিত বইজ্যাখালী খালের উভয় পার্শ্বে পাকহানাদার বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে গুলি বিনিময় হয়। এতে উভয় পক্ষের কেউ হতাহত হয়নি।
স্থানঃ সাপমারা, নারায়নহাট সড়কের পার্শ্বে অবস্থিত
কালঃ আগষ্ট/নভে/৭১
শহীদঃ ৩ জন।
১৯৭১ সালের নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সাপমারার মাঝখানে নুনাবিল নামক স্থানে পাকহানাদার বাহিনীর সাথে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আনুমানিক পাঁচ ঘন্টা সম্মুখ সমর সংঘটিত হয়। সেদিন মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব, রণকৌশল এবং তিন দিকের ঘেরাও এর ফাঁদে পড়ে কাঁপুরুষের দল পাকহানাদার বাহিনী ভয় পেয়ে পশ্চিম হালদা নদীর দিকে পলায়ন করে ছিল।
স্থানঃ উত্তর রাঙ্গামাটিয়া, উত্তর ধুরুং (থানা আক্রমন)
কালঃ নভেম্বর/৭১
মুক্তিযোদ্ধারা ১৯৭১ সালের নভেম্বরের মাসের শেষের দিকে রাত আনুমানিক ১.০০ ঘটিকায় ফটিকছড়ি থানা আক্রমন করে আগুরে পুড়িয়ে দেয়। ঐ সময় থানার যাবতীয় মালামাল ও রেকর্ডপত্র আগুণে পুড়ে যায়। আক্রমন চলাকালীন সময়ে বিবিরহাট বাজারের বেকারী দোকানদার অলি আহম্মদ পিতা- ইসমাঈল সওদাগর, সাং- ধুরুং শহীদ হন।
স্থানঃ কর্ণফুলী চা-বাগান, গোপালঘাটা।
কালঃ অক্টোবর/৭১
১৯৭১সালের নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে কর্ণফুলি চা বাগানে অবস্থান নেওয়া পাকহানাদার বাহিনীর উপর মুক্তিযোদ্ধারা রাত্রে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রচুর গুলি বিনিময় হয়। উক্ত সম্মুখ যুদ্ধে হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি।
স্থানঃ খনখাইয়া খালের যুদ্ধ (ধর্মপুর)।
কালঃ ১২ই ডিসেম্বর/৭১ তারিখ
শহীদঃ মোঃ শফি ও জহুর আহাম্মদ আহত হন এবং পরবর্তীতে মারা যান।
১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের ১২ তারিখ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্থানে পাকহানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাগণের গুলির বিনিময় হয়। এত মোঃ শফি ও জুহুর আহম্মদ আহত হন। পরবর্তীতে জহুর আহম্মদ মারা যান।